স্কুলিং পদ্ধতি বাতিল চান সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষকরা
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

সাত কলেজের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ পুনরুদ্ধার ও প্রস্তাবিত স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিকে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষকরা।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সকড়ে ১২টায় কলেজ প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলি মুখোপাধ্যায়সহ শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং বিস্তর গবেষণাসহ কোনো স্টেক হোল্ডারের মতামত গ্রহণ করা হয়নি। রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাতটি সরকারি কলেজকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় গঠন ও প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
মানববন্ধনে শিক্ষক ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজ মিলে একটি অনুষদ, যেখানে মোট শিক্ষার্থী থাকবে ৭০ জন। তাহলে কলেজ দুটির বাকি অবকাঠামো ও এতগুলো শিক্ষকের কী হবে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা সরকার দিতে পারেনি। তাছাড়া সরকারি প্রস্তাবনায় ছাত্রীদের পড়াশোনার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ৭ কলেজের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা সাত কলেজে ঐতিহ্য ও শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার জন্য আজ মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি।
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা সভাপতি ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, সবকিছুতে সোহরাওয়ার্দী কলেজে শিক্ষার পরিবেশ যেন বিনষ্ট না হয়, আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা সভাপতি ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মশিউর রহমান ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আল কামাল মো. আসাদুজ্জামান। এতে আরও বক্তব্য দেন অর্থনীতির শিক্ষক আব্দুল হালিম, সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম।
পরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আল কামাল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া অধ্যাদেশে শিক্ষকদের ভর্তি কার্যক্রম থেকে শুরু করে ক্লাস, পরীক্ষাসহ কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়নি। অর্থাৎ প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া অধ্যাদেশে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শ্রেণিকার্যক্রমসহ কোনো কার্যক্রমেই অংশগ্রহণ করার এখতিয়ার দেয়নি। চূড়ান্ত অধ্যাদেশ, সিলেবাস ও প্রশাসনিক কাঠামো নির্ধারিত না হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েই বর্তমানে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় মডেলে সরকারি কলেজে আসনসংখ্যা কমে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উচ্চ ফি নির্ভর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বেসরকারি কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হবেন। ফলে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরান্বিত হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই
