আন্তর্জাতিক আদালতে সীমান্ত হত্যার বিচারের আহ্বান ডাকসুর

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৪১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

সীমান্ত হত্যার মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে উত্থাপন করে বিচার নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ কর্তৃক দুই বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে পদ্মা নদীতে নিক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠার ঘটনায় ও সীমান্তে অব্যাহত বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে ডাকসু এই আহ্বান জানায়।

ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের জন্য হত্যাকারী বিএসএফের বিরুদ্ধে অবশ্যই কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।

ডাকসু জানায়, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্তে গুলি করে হত্যা করছে। কিশোরী ফেলানীর কাঁটাতারে ঝুলে থাকা লাশ কিংবা স্বর্ণা দাসকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা সারাবিশ্বের বিবেক নাড়া দিলেও বিএসএফের মনোভাব বদলায়নি। ভারত বারবার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ‘শূন্যে নামিয়ে আনার’ প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার উল্টো চিত্রই দেখা গেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চলতি বছরেই ভারত থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষকে অবৈধভাবে ‘পুশইন’ করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রোহিঙ্গা ও ভারতীয় নাগরিকও রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বিস্ফোরণ, ড্রোন ওড়ানো এবং গুলিবর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।

ভারত থেকে অবৈধ পুশইন ও বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু ও দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির কারণে বিএসএফ বছরের পর বছর সীমান্তে হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়েও বর্ডার ভায়োলেন্স নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর অবস্থান না থাকায় সীমান্ত হত্যাকাণ্ড একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে।

আমার বার্তা/এল/এমই