মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার রুপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রুপসা ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঝখানে জোরপূর্বক স্থায়ী দেয়াল তুলছে রুপসা ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কুচকাওয়াজ, সমাবেশ ও খেলাধুলা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রুপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রেকর্ডভুক্ত জমি ৫০ ডিসিমল। এর মধ্যে ৩০ ডিসিমলের খাজনা উপজেলা শিক্ষা অফিস পরিশোধ করে। বাকি ২০ ডিসিমল জমি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূর্বে এই জমিতে গেট ও পাঠাগার নির্মাণ করে। এবারও তারা একতরফাভাবে ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের ৬ ফুট উঁচু দেয়াল তুলছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুতফুন্নাহার দেশ জানান, ২০২০ সালে জমি জরিপের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ২০২১ সালে ভূমি অফিস পরিমাপের নোটিশ দিলেও এখনো সমাধান হয়নি। দেয়াল নির্মাণের প্রতিবাদে তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে জানান। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সায়েদুর রহমান বিষয়টি ইউএনও’র কাছে তুলে ধরেন। এর ফলে, প্রায় স্কুলটির সাড়ে তিনশত শিক্ষার্থীর প্রাত্যহিক সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও খেলাধুলা দারুণভাবে ব্যহৃত হচ্ছে।
স্থানীয় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ ও কুচকাওয়াজের জায়গা নেই-এটা আমরা মানতে পারছি না।
সরেজমিন দেখা গেছে, উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের অংশবিশেষ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে নির্মিত হয়েছে। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাত্র ১৫-২০ ফুট জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে।
ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সফি উদ্দিন মাহি দাবি করেন, পাঁচ বছর আগে ভূমি কর্তৃপক্ষ ও তৎকালীন ইউএনও’র সমঝোতায় এই জমি আমাদের ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ রোধ করতেই দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়টি আগেই নিষ্পত্তি হয়েছে। আমি কোনো দেয়াল নির্মাণের অনুমতি দিইনি। পূর্ববর্তী ইউএনও ও ভূমি অফিস সমাধান দিয়েছে।