নতুন বছরের আগেই পাঠ্যপুস্তকের অনলাইন সংস্করণ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৪১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার/ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই চলে যাবে। তবে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দিতে জানুয়ারি মাসটা লেগে যেতে পারে। এর চেয়ে বেশি দেরি হবে না।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীন, গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পাঠ্যবইয়ের কাজটা কঠিন ছিল। নির্ভুল বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে আমরা কাজ করেছি। অনেক রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত; আবার অনেক রিপোর্ট ভালো হয়েছে। এতে আমরা প্রেসে গিয়ে পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। পত্রিকায় রিপোর্ট হওয়ার পর বইগুলোর ছাপার কাজ করতে সমন্বয় করতে হয়েছে। তা না হলে ডিসেম্বরের ৭-৮ তারিখের মধ্যে বইয়ের কাজ শেষ করতে পারতাম।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীন বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার কঠোর পরিশ্রমে কাজটা প্রায় শেষ পর্যায়ে এসেছে। জানুয়ারির ১ তারিখের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বই চলে যাবে। বাকিটা জানুয়ারির মধ্যে চলে যাবে।

এবার প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ২৯ কোটি ৮০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৬ কপি বই ছাপানোর কাজ করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এরমধ্যে মাধ্যমিক, দাখিল, কারিগরির ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ১৮ কোটি ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮৪০ কপি বই ছাপা হবে। আর প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট বইয়ের সংখ্যা ৮ কোটি ৫৯ লাখ ২৫ হাজার ৩৭৯ কপি।

এনসিটিবির দেওয়া তথ্যমতে, গত ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিক ও ইবতেদায়ির প্রায় ১০ কোটি বই প্রস্তুত বাকি। তবে প্রাথমিকের সাড়ে ৮ কোটির বেশি বই ছাপা, বাঁধাই, কাটিং শেষে উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।


আমার বার্তা/এমই