কোনো ভুল সিদ্ধান্তের কারণে যেন ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। কোনো আবেগতাড়িত বা ভুল সিদ্ধান্তে যাতে চরমপন্থা বা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না পায়, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে গণঅভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবদান ও শহীদদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, জুলাই আন্দোলন শুরু থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত হলেও গত বছরের ১৬ জুলাইয়ের পর তা আর কোটা সংস্কার আন্দোলনে সীমাবদ্ধ ছিল না। রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ, চট্টগ্রামে ওয়াসীমসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একইদিনে কমপক্ষে ছয়জন শহীদ হওয়ার পর দেশের মাফিয়া সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে ওঠেছিল। সারাদেশে স্ফূলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়া আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন মাফিয়া সরকার বেপরোয়া হত্যা, নির্মম দমন-পীড়ন চালাতে শুরু করেছিল।
তিনি বলেন, সেই মাফিয়া সরকারের দমন-নিপীড়ন উপেক্ষা করে ১৮ জুলাই থেকে দল-মত নির্বিশেষে বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা যেভাবে রাজপথে সাহসের সঙ্গে রক্ত দিয়েছে সেদিন থেকে একজন রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস চলে আসে যে এখন এই সরকারের পতন কেবল সময়ের অপেক্ষা।
তিনি আরও বলেন, সেটি উপলব্ধি এবং বিশ্বাস থেকে ছাত্রজনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনকে ফ্যাসিস্ট পতনের এক দফা আন্দোলনে পরিণত করে ফ্যাসিস্টের পতন নিশ্চিত করতে বিএনপিসহ দেশের গণতান্ত্রিক দলগুলো পরিকল্পনা এবং কৌশল অবলম্বন করেছিল। তবে কোটা সংস্কারের পথ ধরে ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলন যাতে দেশে বা বিদেশে যেন কোনো নির্দিষ্ট দলের আন্দোলন হিসেবে পরিচিতি না পায় এটি নিশ্চিত রাখা ছিল রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, দলটি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবীর রিজভী।
আমার বার্তা/এমই