অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার চরিত্রের দিক দিয়ে দল নিরপেক্ষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও গত ১৪ মাসে তাদের আচরণে দল নিরপেক্ষতা ছিল না। তারা পুরোপুরিভাবে পক্ষপাতদুষ্টতায় কাজ করে চলছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাচন খুবই কাছাকাছি চলে এসেছে, এখন অন্তত সরকারের উচিত হবে যেসব পদক্ষেপের জন্য তারা কলুষিত হচ্ছে, সেসব পদক্ষেপ থেকে বেরিয়ে আসা। তা নাহলে দেশের জনগণ গত ১৭ বছর পর যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা চিন্তা করছে, তা কখনোই সম্ভব হবে না। ভয়-ভিতিহীন ভোটের পরিবেশ থাকবে না।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাইফুল হক বলেন, যেসব উপদেষ্টার বিতর্কিত কাজের জন্য সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, তাদের দ্রুত অব্যাহতি দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদকে ছোট করা যেতে পারে। আর তাদের বাদ দিয়ে দক্ষ, প্রজ্ঞাবান দুই-তিনজনকে যুক্ত করাও যেতে পারে। কিন্তু, সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়, এমন কাউকে সরকারে রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সময় বাঁচবে, খরচ কমবে।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো তাদের দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করছে না। এতে অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্বল ও অকার্যকর মনে করছে সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা পরিবেশ তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। সরকারের উচিত হবে, নির্বাচনের আগে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গতিশীল করে গড়ে তোলা। অন্যথায়, ভোটকেন্দ্রে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা রয়েছে বলে মনে করেন এই বিল্পবী নেতা। তিনি বলেন, কোনো একটি বিশেষ মহল সরকারকে বিপদে ফেলতে এই অগ্নিকাণ্ডগুলো ঘটাতে পারে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে হুমকির মধ্যে ফেলতে একটি চক্র এটি করছে বলে আমরা মনে করছি। এ ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত হওয়া উচিত।
সংবাদ সম্মেলন থেকে গণ-অভ্যুত্থানের গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আগামী শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘ঢাকা সমাবেশ ও গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এই সমাবেশ ও গণমিছিল প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক আকবর খান বলেন, আমরা সমগ্র দেশবাসীকে এই সমাবেশ ও গণমিছিলে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা চাই, আগামী নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশি শক্তির ব্যবহার মুক্ত হোক। সেই লক্ষ্যে আমাদের এই সমাবেশ ও গণমিছিলের আহ্বান করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এমই