আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার: তারেক রহমান
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:০০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে পাহাড়ের, সমতলের, মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই আছে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, পুরুষ, শিশু যেই হোক না কেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে, যেন নিরাপদে ফিরতে পারে।
রাজধানীর পূর্বাচলে গণসংবর্ধনায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘প্রিয় বাংলাদেশ’ বলে বক্তব্য শুরু করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রথমেই রাব্বুল আলামিনের প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। মহান রাব্বুল আলামিনের দোয়ায় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছি।
তিনি বলেন, ৭১ এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল ২০২৪ সালে তেমন সর্বস্তরের মানুষ, সবাই মিলে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।
কয়েকদিন আগে ওসমান শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ওসমান হাদি চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ৭১ এ যারা শহীদ হয়েছে, ২৪ এ যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তরুণ প্রজন্মই আগামীতে দেশ গড়ে তুলবে। গণতান্ত্রিক, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দেশকে গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে পরপর তিনবার তিনি বলেন, আমরা দেশের শান্তি চাই।
দেশকে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তিনি মার্টিন লুথারের বক্তব্য ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ উক্তিটি উল্লেখ করে বলেন ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান। এজন্য প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাহলে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর পূর্বাচলে গণসংবর্ধনার মঞ্চে উপস্থিত হন তারেক রহমান। বেলা ৩টা ৫৭ মিনিটে তিনি বক্তব্য শুরু করেন। মঞ্চে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বেলা পৌঁনে ১২টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই তাঁকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে দেখা গেছে। ঢাকায় অবতরণের আগে বিমানটি সিলেটে অবতরণ করেছিল। দেশে ফেরার সময় তারেক রহমানের সঙ্গে আছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান যান জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে তথা ৩০০ ফিট রাস্তায় সংবর্ধনাস্থলে। সেখানে অপেক্ষায় থাকা নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এরপর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকে যাবেন গুলশান-২ নম্বরের বাসভবনে।
এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হয়েছেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে হেঁটে ও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সংবর্ধনাস্থলে আসেন দলের নেতাকর্মীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, গণসংবর্ধনার অনুষ্ঠানস্থলের মঞ্চ প্রস্তুত। মঞ্চে আছে ১৯টি চেয়ার। চারপাশে নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
রাজধানীর কুড়িলের সড়ক থেকে শুরু করে ৩০০ ফিট গণসংবর্ধনা মঞ্চের পরবর্তী অংশ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে প্রদর্শন করা হয় বিভিন্ন রঙের ব্যানার-ফেস্টুন। নেতাকর্মীদের স্লোগানে পুরো এলাকা উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে।
আমার বার্তা/এমই
