গত ১০ জুন মৃত্যুবরণ করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের উদীয়মান মুখ তানিন সুবহা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩১ বছর। তানিনের মৃত্যুর পর কেটে গেছে প্রায় ৪০ দিন। কিন্তু এখনো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে কোনো দোয়া মাহফিল বা কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়নি— যা নিয়ে শিল্পীমহলে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। শিল্পী সমিতির কোন সদস্যর মৃত্যু হলে সাধারণত দোয়ার আয়োজন করা হয়। তবে তানিনের বেলায় ভিন্ন কেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তানিনের সহকর্মী শিল্পী ও সাংবাদিকদের উদ্যোগে দোয়া ও কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বাদ আসর, বিএফডিসির মসজিদে তানিন সুবহার রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও কোরআন খতম অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন চিত্রনায়িকা মুক্তি, সাংবাদিক আহমেদ তেপান্তর, মাজহার বাবু, রাহাত সাইফুল, রঞ্জু সরকার, অচিন্ত চয়ন, এ এইচ মুরাদ, আসিফ আলম, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, অভিনেতা সনি রহমানসহ কয়েকজন সহকর্মী। ১৯৯৪ সালের ৫ মে, মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন তানিন সুবহা। গত ২ জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বনশ্রীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ধানমন্ডির একটি উন্নত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে লাইফ সাপোর্টে চলাকালীন মারা যান এই অভিনেত্রী। ২০১৫ সালে আজাদ কালামের পরিচালনায় ‘যমজ’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তানিনের। সেখানে মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করে দর্শকের নজর কাড়েন। পরবর্তীতে ‘আলাল দুলাল’, ‘সেয়ানা জামাই’, ‘ম্যারেজ মিডিয়া ডটকম’-এর মতো নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে— ‘অবাস্তব ভালোবাসা’, ‘মাটির পরী’, ‘স্বপ্নের সাথী’, ‘দেমাগ’ ও ‘তুই আমার’। তার অভিনীত কয়েকটি সিনেমা এখনো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।