ই-পেপার শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শেখ মুজিব ও চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের খবর ভুয়া

আমার বার্তা অনলাইন
০৪ জুন ২০২৫, ১২:২০
আপডেট  : ০৪ জুন ২০২৫, ১২:২৪

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরাসরি যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি, তাঁদের মধ্যে মুজিবনগর সরকার, বীরাঙ্গনা এবং মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসকদের সহায়কদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এর বাইরে অন্যদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে রাখা হয়েছে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করে গতকাল বুধবার রাতে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।

তবে কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা সনদও বাতিল করা হয়েছে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে।

এর মধ্যে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে সরকারের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাজউদ্দীন আহমেদসহ জাতীয় চার নেতা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা। মুজিবনগর সরকারের যারা ছিলেন তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত হবেন।

এ বিষয়ে ফেসবুকে ভেরিফায়েড আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল-একটা ফেইক নিউজ। নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যাঁরা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, তৎকালীন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন, এরূপ সকল বেসামরিক নাগরিক উক্ত সময়ে যাঁদের বয়স সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়সের মধ্যে; এবং সশস্ত্র বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), পুলিশ বাহিনী, মুক্তি বাহিনী, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) ও উক্ত সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্যান্য বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স, আনসার সদস্যরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।

এর বাইরে হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের সহযোগী কর্তৃক নির্যাতিত সকল বীরাঙ্গনা এবং মুক্তিযুদ্ধকালে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ফিল্ড হাসপাতালের সকল ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সহকারীদের বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরে বা প্রবাসে অবস্থান করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে সংগঠকের ভূমিকা পালন, বিশ্বজনমত গঠন, কূটনৈতিক সমর্থন অর্জন এবং মনস্তাত্ত্বিক শক্তি অর্জনের প্রেক্ষাপটে যেসব বাংলাদেশের নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করেছেন।

এই শ্রেণিতে কারা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন, তা-ও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

গেজেটে বলা হয়েছে, যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন এবং যেসব বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন, যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূত এবং উক্ত সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তার, নার্স বা অন্যান্য সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন; মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সঙ্গে সম্পৃক্ত সব এমএনএ বা এমপিএ; যাঁরা পরবর্তীকালে গণপরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন; স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সকল শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সকল বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে অনেককে আলাদা করা হলেও তাঁদের সুযোগ-সুবিধা কমবে না।

আমার বার্তা/জেএইচ

ঢাকা-মাওয়া রুটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়, বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ

ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ। শুক্রবার (৬ জুন) ভোর থেকেই সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী বাস

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার জুড়ে যানজট

শেষ সময়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে মানুষ ভোগান্তি নিয়ে

ঈদুল আজহা উদযাপন করলো দিনাজপুরের ১৫ গ্রামের মানুষ

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে দুটি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষ ঈদুল আজহার

চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩

চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর বোয়ালখালী অংশে ঢাকামুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে একাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকা-মাওয়া রুটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়, বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার জুড়ে যানজট

দিনাজপুর থেকে বিমানে ঢাকায় ছুটছেন কসাই

ঈদুল আজহা উদযাপন করলো দিনাজপুরের ১৫ গ্রামের মানুষ

চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩

৬ জুন ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা

পঞ্চগড়ে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু

দ্রুত বর্জ্য অপসারণে সেবা দেবে ডিএসসিসি: প্রশাসক

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

মিশরে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কোরবানি করছেন বাংলাদেশিরা

২০২২ সাল থেকে র‌্যাবের গোপন সেলে ছিলেন সুব্রত বাইন

পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাটের বেচাকেনা

পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা

ডিসিপ্লিন মেনে চললে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যানজট উভয়ই নিয়ন্ত্রণে থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাকাসহ যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে খুলনায় মানববন্ধন-বৃক্ষরোপণ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিন বন্ধ থাকবে সোনাহাট স্থলবন্দর

ঈদুল আজহার প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দান

ঈদুল আজহার জামাতের জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রস্তুতি সম্পন্ন