জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও এনবিআর সংস্কারে যৌক্তিক প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি এমন দাবি তুলে আজ সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে চার ঘণ্টার কলম বিরতি কর্মসূচি শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
পাশাপাশি কাফনের কাপড় পরে এনবিআর ভবনের চত্ত্বরে অবস্থান নিয়েছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সকাল ৯টার আগেই আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে জড়ো হতে থাকেন তারা।
এর আগে গত ২১ জুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এদিকে, এনবিআরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি চলার মধ্যে আয়কর অনুবিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে ‘তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। এই বদলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে আজকের কর্মসূচিতে।
সোমবার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে অংশ নিয়েছেন। বদলির নামে প্রহসন মানি না, গোলামীর অধ্যাদেশ মানি না, বদলির নামে জুলুমবাজী বন্ধ করতে হবে সম্বলিত স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাদের।
এনবিআর চত্ত্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। এর আগে গত মে মাসে এনবিআর দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারির পর তা বাতিলের দাবিতে কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তাদের আন্দোলনের মধ্যে সরকারের তরফে বলা হয়, অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অটল থাকেন এবং সংস্থার কার্যালয়ে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন।
পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় অফিসে ফেরেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা কয়েকজন কর্মকর্তার বদলির আদেশকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে একে অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, এই বদলি কোনো স্বাভাবিক প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, এটি একটি সুপরিকল্পিত কূটপরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ, যা চলমান রাজস্ব সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের পক্ষের শক্তিকে দুর্বল করার অপচেষ্টা।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের অংশগ্রহণ ছাড়া ফলপ্রসূ ও কার্যকর রাজস্ব সংস্কার নিশ্চিত করা যাবে না বলে সতর্ক করে সেই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তের কোনো গ্রহণযোগ্যতা আমাদের পক্ষ থেকে কখনই স্বীকৃত হবে না।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, এনবিআর এর ঊর্ধ্বতন কর্তাদের এই ধরনের ফ্যাসিস্ট আচরণ আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করি।
আমার বার্তা/জেএইচ