
টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর শহরের প্রধান সমস্যা যানজট নিরসন এবং জনভোগান্তি লাঘবে বাস, ট্রাক, সিএনজি ও অটোরিকশার লাইন মাস্টার এবং পরিবহন নেতাদের সাথে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটার সময় পৌরসভা মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসক এবং আইন-শৃঙ্খলা কমিটির উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুবায়ের হোসেন।
সভায় মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন রোডের যানবাহনের বিশৃঙ্খল চলাচল এবং যত্রতত্র পার্কিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
প্রশাসন ও স্থানীয় নাগরিক প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্ট্যান্ডের মোড়ে বাস ও সিএনজি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানোর ফলে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি তৈরি করছে।
মতবিনিময় সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে বাসস্ট্যান্ডের মূল পয়েন্টে কোনো বাস, ট্রাক বা সিএনজি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা যত্রতত্র পার্কিং করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ ও জামালপুর রোডের লাইন মাস্টারদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন যানবাহনগুলো নির্ধারিত সীমার বাইরে না দাঁড়ায়।
এছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচলে নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা মেনে চলা এবং রাস্তার পাশের অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত বাস ও শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বণিক সমিতি এবং অটোরিকশা সমিতির নেতারা প্রশাসনের এসব সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করেন এবং যানজট নিরসনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তবে তারা স্ট্যান্ডের জায়গা স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে স্থায়ী টার্মিনাল সংস্কারের দাবি জানান।
সভায় মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর ইকবাল, ট্রাফিক সার্জেন্ট সাজ্জাদ হোসেনসহ প্রশাসনের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, "প্রাথমিক আলোচনার পর যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তবে জনস্বার্থে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।"
আমার বার্তা/মো: নাজমুল হক/এমই

