
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা এমন নির্বাচন চাই— যেখানে থাকবে না ভয়, থাকবে শুধু জনগণের নির্ভীক মত প্রকাশ । সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন, আপনি দেশের মালিক, এদেশ আগামী পাঁচ বছর আপনার পক্ষে কে চালাবে, সেটা আপনি ঠিক করবেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিউনিউতে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ‘ভোটের গাড়ি’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে এক ভিডিওবার্তায় একথা বলেন তিনি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ২০২৬ উপলক্ষে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার এর মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। সামনে আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ওপর গণভোট— এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করছে। ১০টি ভোটের গাড়ি ‘সুপার ক্যারাভান’, এসব গাড়ি দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে। ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ভোটাধিকার কারও দয়া নয়, এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই আমরা ঠিক করি ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে? একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা শুধু সরকারে দায়িত্ব নয়, এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। এই সুপার ক্যারাভান কেবল একটি গাড়িই নয়, এটি গণতন্ত্রের আনন্দবাণী বহনকারী ভোট। এটি জানিয়ে দেবে আপনার একটি ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা মনে করিয়ে দেবে নিষ্ক্রিয়তা নয়, অংশগ্রহণে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি— তরুণ সমাজ, নারী ভোটার এবং প্রথমবারের ভোটারদের প্রতি আপনারা এগিয়ে আসুন, প্রশ্ন করুন, জানুন-বুঝুন এবং আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। সৎ ও সমর্থ প্রার্থী বেছে নিন, চিন্তাভাবনা করে ভোট দেন। এবারের নির্বাচনে আপনি আরও একটা ভোট দেবেন জুলাই সনদের ওপর গণভোট। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দিনের পর দিন বৈঠক করে— এই সনদ তৈরি হয়েছে। এই সনদ দেশের মানুষ পছন্দ করলে দেশ আগামী বহু বছরের জন্য নিরাপদে চলবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমার বার্তা/এমই

