
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে বীরের বেশে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ৩০০ ফুট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে দেশ পরিচালনার কথা।
উচ্ছ্বসিত লাখো মানুষের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘আসুন, আমরা সকলে মিলে প্রতিজ্ঞা করি—আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যারা আসবে, আমরা সকলে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
বক্তব্যের একপর্যায়ে তারেক রহমান তাঁর মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘সন্তান হিসেবে আমার মন আমার মায়ের বিছানার পাশে পড়ে আছে সেই হাসপাতালের ঘরে। কিন্তু যে মানুষটি আপনাদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেই আপনাদের ফেলে আমি আগে হাসপাতালে যেতে পারি না। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই আজ আমি এখানে দাঁড়িয়েছি।’
বেগম খালেদা জিয়ার ওপর বিগত বছরগুলোতে হওয়া জুলুমের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তারেক রহমান।
যেকোনো মূল্যে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেন তারেক রহমান। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা যে ধর্মের বা যে রাজনৈতিক দলেরই সদস্য হই না কেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন এ দেশের প্রত্যেক মানুষ নিরাপদ থাকে। শিশু, নারী, পুরুষ—যেকোনো বয়স বা ধর্মের মানুষ যেন এই মাটিতে নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারে।’
কোনো ধরনের উসকানি বা বিশৃঙ্খলায় পা না দিয়ে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তিনি উপস্থিত জনতাকে আহ্বান জানান।
বক্তব্যের শেষে তিনি একযোগে দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘সবাই মিলে করব কাজ, গড়ব মোদের বাংলাদেশ। ইনশা আল্লাহ, আপনাদের সকলের দোয়া ও সহযোগিতায় আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানীজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিমানবন্দর থেকে সভাস্থল পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লাখো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। ভাষণ শেষে তিনি উপস্থিত জাতীয় নেতাদের নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করেন।
আমার বার্তা/এমই

